Thursday, July 9, 2015

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিঃ নানা হিসাব-নিকাশে এখনো অনিশ্চিত বাংলাদেশ!

 

ওয়ানডে ক্রিকেটের সেরা আসর বিশ্বকাপ হলেও এই ফর্মেটের অভিজাত আসর বলতে বুঝায় আইসিসি চ্যাম্পয়ন্স ট্রফি। আয়োজক দেশ ও আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষ ৭ এ থাকা দেশগুলো সহ মোট ৮টি দেশ অংশ নেয়ার সুযোগ পায় এ ট্রফিতে খেলার। প্রমানিত সেরাদের এই আসর শুরুর আগে একটা টাইম ফ্রেম নির্ধারন করা হয়, যে  সময়ের মধ্যে ক্রিকেট খেলা দেশগুলোকে সেরা ৭ এ থেকে নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করতঃ আসরে খেলা নিশ্চিত করতে হয়। আয়োজক দেশ ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে সেরা ৭ এর মধ্যে থাকায় আগামি চ্যাম্পয়ন্স ট্রফিতে খেলবে র‍্যাংকিংয়ের সেরা ৮ দল। সে নিয়ম অনুসারে ২০১৭ তে ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে এ বছরের ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে সেরা ৮ থাকা বাধ্যতামুলক। এবার চলুন সমিকরন গুলো দেখে নেয়া যাকঃ

সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয়ে ৯৩ পয়েন্ট পেয়ে বাংলাদেশ প্রথম বারের মত র‍্যাংকিংয়ে সাত এ উঠে আসে। ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে ৮এ ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ৮৭ পয়েন্ট নিয়ে ৯ এ অবস্থান করছে পাকিস্তান। আগামি ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন ওয়ানডে সিরিজ না থাকায় আইসিসি চ্যাম্পয়ন্স ট্রফিতে নিশ্চিত মনে হচ্ছিল বাংলাদেশকে।

তবে আগামি আগস্টে জিম্বাবুয়ে - পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ ত্রি-দেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলার সম্ভাবনা থাকায় চ্যাম্পয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বাংলাদেশের জন্য সমীকরণ বদলে গেছে। ১০ জুলাই, শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ মাঠে নামছে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে আর ওদিকে একদিনের ব্যবধানে শনিবার পাকিস্তান  খেলতে নামছে শ্রীলংকার বিপক্ষে  ৫ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। দুই দেশের জন্য এ সিরিজ দুটিই ক্রিকেটের অভিজাত ট্রফিতে খেলার অনেক হিসাব নির্ধারন করে দিবে।

৯৩ পয়েন্ট নিয়ে ওয়ানডে র‍্যাংকিং এর ৭ এ থাকা বাংলাদেশ  দক্ষিন আফ্রিকার সাথে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের যেকোন একটি ম্যাচে জিততে পারলে পয়েন্ট সংখ্যা অপরিবর্তিত থাকছে। আর তাতেই নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে চ্যাম্পয়ন্স ট্রফিতে খেলা। তবে একটি ম্যাচও জিততে না পারলে বাংলাদেশ হারাবে৩টি মুল্যবান পয়েন্ট। তখন রেটিং পয়েন্ট দাড়াবে ৯০।

তবে একদিনের ম্যাচ মানেই অন্যরকম বাংলাদেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। ১৯৯২ এর বিশ্বচ্যাম্পয়ন পাকিস্তানকে ৩-০ তে সিরিজ হারানো আর দুবারের বিশচ্যাম্পয়ন ভারতকে ২-১ তে সিরিজ হারিয়ে বাংলাদেশ যে ধারাবাহিকতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেটা বজায় রেখে দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ সিরিজ জিতলে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট দাড়াবে ৯৬। আর ৩-০ তে সিরিজ জিতলে ৯৮ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে ৬ থাকা ইংল্যান্ডে টপকে বাংলাদেশ ৯৯ রেটিং পয়েন্ট
নিয়ে পৌছে যাবে পাঁচ এ।

দক্ষিন আফ্রিকা ৩-০ তে সিরিজ জিতলে সমান ১১২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৩ এ থাকা  নিউজিল্যান্ডকে টপকে যাবে দেশটি। র‍্যাংকিংয়ে ৯ এ থাকা পাকিস্তান শ্রীলংকার বিপক্ষে ৩-২ এ সিরিজ জিতলে সমান ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চেয়ে দশমিক (.) পয়েন্টে এগিয়ে থেকে র‍্যাংকিংয়ে ৮ এ চলে যাবে। পাকিস্তান ৫-০ তে সিরিজ জিততে পারলে তাদের রেটিং পয়েন্ট দাঁড়াবে ৯৪। আর একটি ম্যাচও জিততে না পারলে পাকিস্তানের রেটিং পয়েন্ট নেমে আসবে ৮৪ তে। শ্রীলঙ্কার কাছে
পাকিস্তান এ সিরিজ ন্যূনতম ব্যবধানে হারলেও সুযোগ খোলা থাকবে ক্যারিবীয়দের।

অভিজাত ক্রিকেট আসর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যাত্রাটা বাংলাদেশেরই মাটিতে। ১৯৯৮ সালে নকআউট বিশ্বকাপ নামে মাঠে গড়ায় এ আসর। এ পর্যন্ত  প্রত্যেক আসরেই খেলেছে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের সর্বশেষ খেলার স্মৃতি ভারতে আয়োজিত হওয়া ২০০৬’র আসরে।

বাংলাদেশ - পাকিস্তানের জন্য র‍্যাংকিং হিসেবঃ 

 
  • বাংলাদেশ-দ. আফ্রিকা সিরিজ
বাংলাদেশ ৩-০তে জিতলে = বাংলাদেশ ৯৯ পয়েন্ট ও দক্ষিন আফ্রিকা ১০৭  পয়েন্ট

বাংলাদেশ ২-১এ জিতলে = বাংলাদেশ  ৯৬ পয়েন্ট ও  দক্ষিন আফ্রিকা ১১০ পয়েন্ট

বাংলাদেশ ২-১এ হারলে = বাংলাদেশ  ৯৩ পয়েন্ট ও  দক্ষিন আফ্রিকা  ১১১ পয়েন্ট

বাংলাদেশ ৩-০তে হারলে = বাংলাদেশ ৯০ পয়েন্ট ও দক্ষিন আফ্রিকা  ১১৩ পয়েন্ট


  • শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান সিরিজ
পাকিস্তান ৫-০তে জিতলে = পাকিস্তান  ৯৪ পয়েন্ট ও  শ্রীলংকা ১০০ পয়েন্ট

পাকিস্তান ৪-১এ জিতলে =  পাকিস্তান ৯২ পয়েন্ট ও শ্রীলংকা ১০২ পয়েন্ট

পাকিস্তান ৩-২এ জিতলে = পাকিস্তান ৯০ পয়েন্ট ও শ্রীলংকা ১০৩ পয়েন্ট

পাকিস্তান ৩-২এ হারলে = পাকিস্তান  ৮৮ পয়েন্ট ও শ্রীলংকা ১০৫ পয়েন্ট

পাকিস্তান ৪-১এ হারলে = পাকিস্তান ৮৬ পয়েন্ট ও শ্রীলংকা ১০৭ পয়েন্ট

পাকিস্তান ৫-০তে হারলে =  পাকিস্তান ৮৪ পয়েন্ট ও শ্রীলংকা ১১০ পয়েন্ট

Source: Bangladesh Cricket Board ( BCB ) website

No comments:

Post a Comment