Thursday, July 16, 2015

একসাথে অনেক রেকর্ড টাইগারদের


প্রথমবার টানা চারটি দেশের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ী বাংলাদেশের৷ ঈদের আগে দেশে এর চেয়ে খুশির খবর আর কী-ই বা হতে পারত৷ তৃতীয় ওয়ানডে-তে প্রোটিয়াবাহিনীকে ৯ উইকেটে হারিয়ে শুধু সিরিজই ঝুলিতে ভরলেন না মাশরাফি মর্তুজারা৷ সঙ্গে তৈরি হলো বেশ কয়েকটি রেকর্ড৷ ক্রিকেটের ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালরা৷ নয়া মাইলস্টোন তৈরি করে বিশ্বক্রিকেটে দলকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন বেঙ্গল টাইগাররা৷

 ১. জিম্বাবুয়ে, ভারত, পাকিস্তান ও সবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ জিতলেন মাশরাফিরা৷ এর আগে টানা এতোগুলি সিরিজ জেতেননি তারা৷ 

২. একই ম্যাচে বাংলাদেশের দুই বোলার ঢুকে পড়লেন ২০০ উইকেট শিকারি ক্লাবে৷ প্রোটিয়া অধিনায়ক হাশিম আমলার উইকেট তুলে নিতেই ২০০ উইকেটের ক্লাবে নাম লেখালেন সাকিব। এদিন আট ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন তিনি৷ এর আগে বাংলাদেশি বোলার হিসেবে আবদুর রাজ্জাকেরই শুধু ওয়ানডে-তে ২০০ উইকেট ছিল৷ এবার সাকিবও সামিল হলেন সেই তালিকায়৷ আবার বিশ্বের সপ্তম ও বাংলাদেশের প্রথম অলরাউন্ডার হিসেবে ৪০০০-এর বেশি রান ও ২০০টি উইকেট নেয়ার নজিরও গড়লেন সাকিব৷ সনৎ জয়াসুরিয়া, ক্রিস হ্যারিস, জ্যাক ক্যালিস, ক্রিস কেয়ার্নস, আবদুল রাজ্জাক ও শহীদ আফ্রিদি এর আগে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন৷ তবে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে (১৫৬) এই কীর্তি গড়লেন সাকিব৷ দেশের মাটিতে সবচেয়ে বেশি উইকেটও এখন তার। মাশরাফিও ২০০ উইকেটের মালিক হয়ে গেলেন৷ তবে বিশ্ব একাদশের হয়েও একটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি৷ বাংলাদেশের হয়ে তাই মাশরাফির উইকেট ১৯৯টি। 

৩. এর আগে একবারই ওয়ানডে-তে ৯ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ৷ 

৪. দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ তৈরি করেন৷ যা প্রোটিয়াবাহিনীর বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ৷ 

৫. ওয়ানডে-তে ওপেনার সৌম্য সরকারের ব্যাটিং গড় ৪৯.৪৷ বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বোচ্চ গড় রানের মালিক এখন সৌম্য৷ ৬. বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে-তে সর্বোচ্চ ৩৬টি অর্ধশতরানের মালিক ছিলেন সাকিব৷ এদিন অপরাজিত ৬১ রান করে সাকিবকে পিছনে ফেলে ৩৭টি হাফ-সেঞ্চুরি করে ফেললেন তামিম ইকবাল৷

Source: dailynayadiganta

No comments:

Post a Comment